ভুল করেছেন, শাস্তিও পেয়েছেন। করেছেন অনুশোচনা। কিন্তু ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব গোপন করার দায়ে শাস্তি হওয়াতেই সাকিব আল হাসানের অস্ট্রেলিয়ান টি-টোয়েন্টি লিগ বিগ ব্যাশে খেলার রাস্তা বন্ধ হয়ে গেল।
সম্প্রতি আইসিসির এক বছরের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে সাকিবের। মাঠে ফেরার জন্য জোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। ঘরোয়া কিংবা আন্তর্জাতিক-কোনো ধরনের ক্রিকেটেই খেলতে আর বাধা নেই সাকিবের। কিন্তু ব্যতিক্রম অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ লিগ।
আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে বিগ ব্যাশের এবারের আসর। গত ২৯ অক্টোবর সাকিবের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার আগেই তাকে বিগ ব্যাশের একটি দল কেনার আগ্রহ দেখায়। কিন্তু ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া সেই অনুমোদন দেয়নি।
বিগ ব্যাশে কোন খেলোয়াড়কে দলে নিতে হলে সবার আগে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার নীতি পুলিশের ছাড়পত্র দরকার হয়। সাকিব সেটি পাননি। নিয়ম অনুযায়ী শাস্তি পাওয়া ক্রিকেটারকে বিগ ব্যাশে খেলতে অনুমতি দেয় না ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার নৈতিক পুলিশ বিভাগ।
সেই আইনেই আটকে গেছেন সাকিব। ফিক্সিং না করলেও জুয়াড়ির প্রস্তাব গোপন করায় তিনি আইসিসির এক বছরের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন। তাই আর কখনই হয়তো বিগ ব্যাশে দেখা যাবে না টাইগার অলরাউন্ডারকে।
২০১৩-১৪ মৌসুমে অ্যাডিলেড স্ট্রাইকারের হয়ে বিগ ব্যাশ অভিষেক হয় সাকিবের। এরপর ২০১৪-১৫ মৌসুমে খেলেছেন মেলবোর্ন রেনেগেডাসের হয়ে। বাংলাদেশের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে বিগ ব্যাশে খেলেছেন এই সাকিবই।
বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোতে বেশ কদর আছে তার। সম্প্রতি পাকিস্তান সুপার লিগে মুলতান সুলতানসের হয়ে খেলার প্রস্তাব পেয়েছিলেন। কিন্তু প্লেয়ার ড্রাফটে আগে নাম না থাকায় যেতে পারেননি সাকিব।
All rights reserved © Use of website without any written permission illegal
Leave a Reply